• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

North Bengal

রাজ্য

ঘূর্ণিঝড় বনাম শীত! ডিসেম্বরের শুরুতে কোন দিকে পাল্টাবে আবহাওয়া?

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে নেমে এসেছে শীতের প্রকট কামড়। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা এক লাফে নেমে পৌঁছেছে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পাহাড়ে সকাল-সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়া ও তীব্র ঠান্ডায় স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও শীতের স্বাদ পাচ্ছেন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ার উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই পারদ পতন স্পষ্ট। সকালের দিকে বহু জায়গায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, ফলে শুষ্ক আবহাওয়া চলবে এবং শীতও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।কলকাতায়ও শীতের হাওয়া ঢুকে পড়েছে। বুধবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ওঠানামা করেছে ৪১ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে। ভোরবেলা হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকের নিচেই রয়েছে। তবে আবহবিদদের মতে, আগামী দুই-তিন দিনে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বাড়তে পারে, কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে উঠবে না।এই সময়ই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে জোড়া নিম্নচাপ। তার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা উড়ছে। ফলে প্রশ্ন উঠছেএই নতুন সিস্টেম কি দক্ষিণবঙ্গের শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে? আবহাওয়াবিদদের মতে, নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতির উপর অনেকটাই নির্ভর করছে শীতের আগ্রাসন। তবে এখনই শীত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন সকালের কুয়াশা, রাতে হালকা ঠান্ডা আর দিনের দিকে কিছুটা উষ্ণতা এই মিলেমিশে তৈরি হবে ডিসেম্বরের শুরুর স্বাভাবিক আবহাওয়া।

নভেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মমতা ফিরছেন উত্তরবঙ্গে, এবার কারা হাতে পাবেন ক্ষতিপূরণের চেক?

বন্যা আর বিপর্যয়ের ক্ষত এখনও পুরোপুরি শুকোয়নি। জল নেমে গিয়েছে, কিন্তু জীবনের স্রোত এখনও থমকে আছে বহু মানুষের। এমন সময় ফের একবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সোমবার বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনের তরফে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় বসবেন এক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার জেলাশাসক ও শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নবান্নের তরফে ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিতে। সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রী বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। জল নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলির অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয় বলে খবর।উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যা-বিপর্যয় ছিল ভয়াবহ। দার্জিলিং, মিরিক ও কালিম্পংয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল জীবনযাত্রা। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, আজও অনেকেই নিখোঁজ। সেই সময় দুবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে মৃতদের পরিবারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। এবার তিনি সেই পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দিতে পারেন বলেই খবর মিলেছে প্রশাসনিক সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বন্যায় মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।তবে প্রশ্ন রয়ে যায় উত্তরবঙ্গ কি ফিরেছে নিজের ছন্দে? প্রশাসনের দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও বহু মানুষ রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল মাথায় দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কমিউনিটি কিচেনের খাবারে বেঁচে আছেন, কারও এখনও ঘর নেই, নথি নেই, মাথার উপরে ছাদ নেই। বন্যার পর কেটে গিয়েছে সপ্তাহ, তবুও জীবনের চাকা ঘুরছে না আগের মতো।ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর শুধুই প্রশাসনিক নয়, মানবিক বার্তাও বহন করছে। বন্যা-বিধ্বস্ত মানুষের পাশে থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করাই এখন নবান্নের লক্ষ্য। রাজ্য সরকার চায়, উত্তরবঙ্গ ফের ফিরে পাক পুরনো ছন্দে।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

উত্তরবঙ্গে ফের মুখ্যমন্ত্রী, নাগরাকাটায় নিহতদের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র ও ক্ষতিপূরণ

ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নাগরাকাটায় গিয়ে দুর্যোগ বিধ্বস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন তিনি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী এদিন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের তদারকি করেন এবং দুর্গত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, রাজ্য সরকার তাদের ঘর নতুন করে তৈরি করে দেবে। কেউ একা নয়, সরকার আপনাদের পাশে আছে। দুর্যোগের পর এর আগেও একাধিকবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের তিনি নাগরাকাটা, দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে যান। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও পুনর্গঠন কর্মসূচির অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন তিনি।দুর্গাপুজো শেষ হতেই প্রকৃতির ভয়াল রোষে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ব্যাপক ভূমিধস ও বৃষ্টিপাতে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দার্জিলিঙের মিরিকে, যেখানে একাধিক জায়গায় ধস নেমে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রকৃতির রোষে আমরা হার মেনে যাব না, মানুষকে নিরাপদ রাখতে যা যা করার দরকার, রাজ্য সরকার তাই করবে। দুর্যোগের পর পরই রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শন উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষের মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করেছে।

অক্টোবর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

এবার পুজোয় বাসেই সিকিম, দার্জিলিং কিংবা ডুয়ার্স, তাকলাগানো প্যাকেজ NBSTC-র!

আসন্ন দুর্গাপুজোয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) পর্যটকদের জন্য নিয়ে আসছে নতুন চমক। সবুজের পথে হাতছানি নামে একাধিক ভ্রমণ প্যাকেজ চালু করতে চলেছে সংস্থা। ফলে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা ডুয়ার্স ঘোরার সুযোগ মিলবে অনেক কম খরচে। খাওয়াদাওয়া মিলিয়ে ভ্রমণের ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৭০০ টাকা থেকে সর্বাধিক ২৫০০ টাকার মধ্যে। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে এমনটাই ঘোষণা করেছেন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়।তিনি জানান, এক দিনের ট্যুর থেকে শুরু করে দুদিন-এক রাত কিংবা তিন দিন-দু রাতের মতো নানা রকমের প্যাকেজ সাজানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা রাখা হবে। পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে মাইকিং, লিফলেট বিলি এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।প্রাথমিকভাবে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে এই বিশেষ প্যাকেজ পরিষেবা চালানো হবে। প্রতিটি জায়গায় দুটি করে বাস থাকছে ১৬ সিট ও ২৬ সিটের। চাহিদা বাড়লে গাড়ির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।পর্যটন মানচিত্রে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ছাড়াও থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভা, লোলেগাঁও, ঝালং, বিন্দু, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গোরুমারা, জলদাপাড়া, রাজাভাতখাওয়া ও জয়ন্তী। নিগমের চেয়ারম্যানের বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য একটাই স্বল্প খরচে বেশি জায়গা ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া। পুজোর সময় উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় দুর্গাপুজো ঘোরার বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে।এই উদ্যোগে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। লাটাগুড়ি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। জলপাইগুড়ি বা লাটাগুড়ি থেকে সরাসরি দার্জিলিং বা গ্যাংটক গেলে বহু পর্যটক প্রথমে ডুয়ার্স ঘুরে পাহাড়ে যেতে চাইবেন। এতে খরচ কমবে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও বাড়বে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বিহার থেকে ডুয়ার্সের সরাসরি সরকারি বাস চালু হলে আরও পর্যটক টানতে সুবিধা হবে। নিগম কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।এছাড়া মহালয়ার পরদিন থেকে চতুর্থী পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমা চালানোর পরিকল্পনাও করছে এনবিএসটিসি। একইসঙ্গে পুজোর সময় কলকাতা-উত্তরবঙ্গ রুটে অতিরিক্ত বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যে ১১টি বাস প্রতিদিন চলছে, তার সঙ্গে আরও দশটি যোগ করার চেষ্টা চলছে। দীঘা রুটেও সপ্তাহে দুদিনের বদলে চার দিন বাস চালানো হবে।সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, পুজোর মরসুমে উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে নতুন গতি দিতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এনবিএসটিসি।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

সপ্তাহের শুরুতেই উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা, তুঙ্গে প্রস্তুতি

সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক কাজকর্ম পর্যালোচনা এবং একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই এই সফর বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।সফরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি পৌঁছবেন। এরপর তিনি দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন।এই সফরে সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি থাকবেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন এবং তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের গতি বাড়ানোই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

মে ১৮, ২০২৫
রাজনীতি

বঙ্গভঙ্গ: আগুন পথে বিজেপি?

১৯৪৭ -এ দেশভাগের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। সেই ক্ষতের অভিঘাতে ঋত্বিক ঘটকের হৃদয় জীর্ণ হয়েছিল কাঁটাতারের অবসাদ তাঁকে আজীবন ঘিরে ছিল। দেশভাগের রক্তাক্ত দলিল বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় ছড়িয়ে রয়েছে। কত সম্পন্ন উঠোন, কাঁচা পাকা গেরস্থালি অকালে ঝরে গিয়েছে। তার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। মনুষ্যত্বের অপমান লাঞ্ছিত দীর্ঘশ্বাস আর বেদনা জারিত স্মৃতি আজও ব্যাথা জাগায়। মানবজমিনের এই অধঃপতনে অন্নদাশঙ্করের কলম লিখে ছিল, তেলের শিশি ভাঙলে বলে খুকুর পরে রাগ কর/ তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ কর?....সেদিনের দেশভাগের পরিণতি বাংলার বুকে কাঁটাতার। এক সময় কুমিল্লা থেকে কলকাতার কলা বাগানে একই সূর্যের আলোয় ভোর হতো। আজ কুমিল্লায় ভোর হয় প্রতিবেশী সূর্যের আলোয়। সেই ভাগের বেদনা ফের উঁকি মারছে বাংলায়। সৌজন্যে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির গলায় বিচ্ছিন্নতা বাদের জিগির। বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি কি আবার রাজ্যকে ভাগ করার পথে পা রাখতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি উত্তর বঙ্গের জন্য পৃথক ব্যবস্থার দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই দাবির রেশ ধরে একাধিক দলীয় সাংসদ ও বিধায়ক সরাসরি উত্তর বঙ্গের একাংশে কেন্দ্রীয় শাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁদের যুক্তি পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবেই তাঁরা কেন্দ্রের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের শরিক করে বাড়তি কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে চাইছেন। বিচিত্র যুক্তি। একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন উত্তর বঙ্গে অনুপ্রবেশ আটকাতেই এই ব্যবস্থা দরকার। অর্থাৎ সেই সাম্প্রদায়িকতার জুজু। হিন্দু ভোট এককাট্টা করার নতুন কৌশল। আর উত্তর বঙ্গ কে এই নতুন কৌশলের পরীক্ষাগার করার জন্যই কি সলতে পাকানো শুরু? এই প্রশ্নও উঠছে। উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা অস্বীকার করা যায় না। সেখানে উন্নয়ন বাড়লে তা সমগ্ৰ রাজ্যেরই কল্যাণ। সেখানে পশ্চাৎপদতার জন্যে কেন্দ্রের বাড়তি সাহায্য চাওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই। উত্তর বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য বেশি। তাই বাড়তি সাহায্যের জন্য তাঁরা উদগ্ৰীব হতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যকে ভাগের কথা বলার মধ্যে অশান্তির ফুলকি থেকে যায়। পশ্চিমবঙ্গের সুস্থিতি ও সংহতির স্বার্থে এই বিপজ্জনক পথ এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব নিয়ে এ রাজ্যে সরব গেরুয়া শিবির। নিছক দলীয় স্বার্থে সেই গুরুত্ব জলে ভাসালে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে তা শুভ ইঙ্গিত নয়। অন্তত এই বোধটুকু বিরোধী দলের কাছে আশা করা যায়। তবে বাংলা ভাগ নিয়ে শোরগোলে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও বিভাজনের কথা শোনা যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি নেতারা মনে করছেন দল এই পথে এগোলে, ভবিষ্যতে রাজ্যে বিজেপির দপ্তর খোলার লোক পাওয়া যাবে না। রাজনীতির পরিভাষায় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের অরগ্যানিক পার্টি নয়। অর্থাৎ এই রাজ্যে বিজেপির ভূমিজ শিকড় নেই। শিকড়ের টান শুধু গাছ নয় মানুষকেও ধরে রাখে। তাই মানুষের তৈরি রাজনৈতিক দলেরও বিকাশে শিকড়ের প্রয়োজন। আর এই শিকড়ের অভাবেই ২০১৯ শেষ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য খুব বেশি ডালপালা মেলতে পারলো না। বাম কংগ্রেসের শূন্যস্থানে প্রধান বিরোধী হয়ে থাকাই যেন তাদের ভবিতব্য।ভারত ভূখণ্ডের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই বঙ্গেও বৈচিত্র্যের বিভিন্নতার সুপত্র সমাবেশ। তাই সাতের দশকে বাংলার কবি অরুণ চক্রবর্তীর চোখে শ্রীরামপুর স্টেশনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মহুয়া গাছের বিবর্ণতা জ্বালা ধরায়। কবি লেখেন, লাল পাহাড়ির দেশে যা/ রাঙামাটির দেশে যা/ ইতাক তোকে মানাইছেনা রে/ইক্কেবারে মানাইছেনা রে। হিন্দি বলয়ের মেরুকরণ এই মাটিতেও মানাবে না। ১৯০৫ সাল। তখন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন। ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করেছিলেন কার্জন। ব্রিটিশ শাসকের এই divide and rule নীতিতে প্রতিবাদ ছড়িয়েছিল বঙ্গ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাখিবন্ধনকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কবি। সেদিনের স্মৃতি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ঘরোয়া অনুলিখনে রাণীচন্দকে বলেছিলেন। অবন ঠাকুর বলেছিলেন সকালে জগন্নাথ ঘাটে স্নান করে ফেরার পথে রবিকাকা রাস্তার দুপাশে জড়ো হওয়া মানুষের হাতে রাখী পরিয়ে দেন। পাথুরে ঘাটায় আস্তাবলে মুসলমান সহিসদের হাতেও রাখী পরান। সেখানেই শেষ নয়। চিৎপুরে সবচেয়ে বড় মসজিদে গিয়ে মৌলবীসহ অন্যদের হাতেও রাখী পরান কবি। রবিকাকা যখন মসজিদের দিকে এগোচ্ছেন তখন গোলমালের ভয়ে কাকার চোখ এড়িয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার কথাও বলেছেন অবনীন্দ্রনাথ। তবে সামান্য গোলমাল ও নয় বরং সেদিনের উপলক্ষে লেখা কবির , বাংলার মাটি বাংলার জল/ বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুন্য হউক পুন্য হউক হে ভগবান -এর আবেশ। তাদের সমবেত কন্ঠে গলি থেকে আকাশ পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। লর্ড কার্জনের বাংলা ভাগের পরিকল্পনা রদ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাঁচের দশকে আরও একবার বাংলার ভূগোল পাল্টাতে চেয়েছিল শাসক। তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলা বিহার সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা করেছিল। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বামপন্থীরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি শাসকদল। একদিকে পরিকল্পনা এগোতে থাকে অন্যদিকে তীব্র হয় বামেদের আন্দোলন। সেই সময় কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে বাম সমর্থিত নির্দল বিধায়ক বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় বিরোধীদল নেতা জ্যোতি বসুকে বলেন এই উপনির্বাচনকে আমি গণভোট হিসেবে নিচ্ছি। নির্বাচনে তোমরা জিতলে সংযুক্তিকরণ হবে না, আমরা জিতলে তোমাদের সংযুক্তিকরণ মেনে নিতে হবে। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত প্রার্থীই জিতেছিলেন। বিধান রায় সংযুক্তিকরণ থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন। ইতিহাস বলছে দেশভাগের কূট খেলায় বাঙালি পরাস্ত হলেও বাংলা ভাগ মেনে নেওয়া বাংলার মানুষের ঠিকুজিতে নেই।

আগস্ট ০২, ২০২৪
রাজ্য

চা বাগানে বিশেষ ভূমিকায় মমতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

চা বাগানে ভিন্ন মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরের পাহাড়-পর্বত হোক বা সমতলের জঙ্গলমহল কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও গেলেই একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলস্তরে নেমে তৃণমূল নেত্রীর জনসংযোগ তাক লাগায়। এর আগে দীঘার সমুদ্রসৈকতের দোকানে দাঁড়িয়ে তাঁকে চা বানাতে দেখা গিয়েছে। এর আগে ঝাড়গ্রামে গিয়ে চপ ভেজেছিলেন। বোলপুর সংলগ্ন এলাকায় ভাতের হোটেলে তরকারি রান্না করতেও দেখা গিয়েছিল মমতাকে। তিনি দার্জিলিং সফরে গিয়ে মোমো তৈরি করেছেন। আর এবার পাহাড় সফরে ভিন্ন দৃশ্য! দেখা গেল চা কর্মীদের মত পোশাক পড়ে তাঁদের মত করেই গাছ থেকে চা-পাতা তুলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার মকাইবাড়ি চা বাগানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণেই সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েন দিদি। দেখা যায়, চা-বাগান কর্মীদের মতই পোশাক মুখ্যমন্ত্রীর পরণে। চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে মাথা দিয়ে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেইভাবে চা পাতা তুলছেন মমতা। এরপর স্থানীয় চায়ের দোকানে চা শ্রমিকদের পাশে বসেই চা-ও খান মুখ্যমন্ত্রী৷ চা চুমুক দিতে দিতেই শ্রমিকদের কাছ থেকে জানতে চান, জমির পাট্টা পেয়েছেন? বলেন, আমাদের পাহাড় ভালো থাকুক,চা বাগান ভাল থাকুক। আপনারা জানেন আমাদের বাড়ির বিয়ে হচ্ছে পাহাড়ের মেয়ের সঙ্গে৷মমতাকে সামনে পেয়ে চা বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় গান শুরু করেন। এক ফাঁকে দেখা যায়, পাহাড়ী শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এসবে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি সকলে একসঙ্গে আমরা কাজ করব। আমি কিন্তু মুখে বলি না। আমি রক্তের সম্পর্ক দিয়ে করে দেখাই। আমি খুব খুশি আজ।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
রাজ্য

জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হেলিকপ্টারের, চোট পেলেন কোমর ও পায়ে

সেবকে বায়ুসেনার এয়ারবেসের জরুরি অবতরণ করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারের। সূত্রের খবর, হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিশেষ বিমানে কলকাতা রওনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ক্রান্তির সভা সেরে মঙ্গলবার দুপুরেই উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই জলপাইগড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার জন্য ওড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। কিন্তু, মাঝ আকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে কপ্টারটি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সেবক এয়ার বেসে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পঞ্চায়েতের প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল সভা করেছেন কোচবিহারে। সেখান থেকেই বাগডোগরা হয়ে উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সাধারণত ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা কপ্টারে যেতে সময় লাগে ১১ মিনিট। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্যোগের মুখে পড়ে কপ্টার। বৈকণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে মাঝ আকাশে প্রবল দুর্যোগের কবলে পড়ে মমতার কপ্টার। বিপদ বুঝে পাইলট ঝুঁকি না নিয়ে সেবক এয়ার বেসের দিকে কপ্টারটি ঘুরিয়ে দেন। সেবক এয়ার বেসেই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। এর আগে গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা ফেরার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৩
রাজ্য

ভোটের মুখে কোচবিহারের সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত, গুলিতে ঝাঁঝরা- মৃত এক তৃণমূল কর্মী, জখম ৬

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার চলাকালীন কোচবিহারের গীতালদহের জারি ধরলা এলাকায় চলল নির্বাচারে গুলি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, জখম হয়েছেন ৬ জন। নিহতকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই অপকর্ম করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১১ জনের।গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের চাঁদমারি থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। গীতালদহে এক তৃণমূল কর্মীর বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৭ জন।দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ওপার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কয়েক জন নেতা, মন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে দুষ্কৃতীদের এনে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জারি ধরলা এমন এলাকা যেখানে বিএসএফের নজর ছাড়া কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও এই ধরণের আক্রমণ হল। বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছে এ রকম ঘটনা ঘটল। বিএসএফ কী করছিল? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ অধিকারীর বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন তিনি।কোচবিহারের বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় তৃণণূলের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, দিনহাটার গীতালদহে জারি ধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। বর্তমানে কয়েক জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বরাবরই ওই এলাকায় তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকে। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে বা এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও দিনহাটার ঘটনার দিকে নজর রেখেছে। রিপোর্ট তলব করেছে জেলা প্রশাসনের কাছে।

জুন ২৭, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা ঘর থেকে বেরতে পারবেন না, বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক অভিষেকের

ডিসেম্বরের মধ্যে চা শ্রমিকদের পিএফ-গ্রাচুইটির সমস্যা না মিটলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা শ্রমিকদের জনসভায় নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, উত্তরবঙ্গ নয়, একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে এখানে জড় হয়েছি, আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। শ্রমিকের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে, মালিকের স্বার্থে নয়। পিএফ ও গ্রাচুইটি নিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দফতরের কাজ। এই দাবির জন্য আন্দোলন করা হবে। এটা শ্রমিকদের হকের টাকা। চা বাগানের মালিকরা যদি পিএফ ও গ্রাচুইটির টাকা জমা না দেয় তাহলে লোকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করবেন। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। তিনি ঘোষণা করেন, ৩ লক্ষ শ্রমিকের হাতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেন তিনি চা বিক্রি করতেন, কিন্তু চা শ্রমিকদের উন্নতির কথা ভাবেন না তিনি, বলেন অভিষেক।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোনও ফল না মেলে তাহলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। দরকারে আমি আসব। ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, এঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, জয়ন্ত রায়রা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না ৩ লক্ষ মানুষ যদি রাস্তায় বের হয়। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক দিল্লি অভিযানে যাবে। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। পাশাপাশি চা বস্তিগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রীকে বলব ৭দিনের মধ্যে এখানে আসতে। ঘুরে দেখে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

পাহাড়ের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধনে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার, খুশি মমতা

দার্জিলিং সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে বুধবার পাহাড়ের জনপ্রিয় কবি ভানু ভক্তের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ফাঁস করেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাহাড়ের বিশেষ সম্পর্কের কথা। নিজের খুশির কথাও তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনারা শুনে খুশি হয়ে যাবেন। আমার এক ভাইপোর সঙ্গে কার্শিয়াংয়ের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। সে আমার বাড়িতে যাওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে আমি গোর্খা শিখে নেব। সে ডাক্তার, আমার ভাইপো ডাক্তার। এভাবে পাহাড়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক জুড়ে গেল। আমার রাজ্য় সরকারের সঙ্গে পাহাড়ের যেমন ভাল সম্পর্ক। আমার পরিবারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।

জুলাই ১৩, ২০২২
রাজ্য

'পায়ে হেঁটে, সাইকেলে ঘুরুন, চারচাকা গাড়িতে ঘোরার দরকার নেই,' নেতা-কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের

আলিপুরদুয়ারের সভাতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন মানুষের পাশে থাকার। অভিষেক বলেন, রাজনীতি মানে শুধু ভোটের রাজনীতি নয়। ১০০দিনের কর্মসূচি নিতে হবে। মানুষের কথা বলতে এসেছি। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। নিশ্চিতভাবে আমাদের গাফিলতি ছিল। অপনাদের আস্থা বা ভালবাসা আমাদের দোষেই হারিয়েছি। যে কোনও প্রয়োজনে 7887778877 নম্বরে ফোন করবেন।অভিষেক কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের একশ্রেণির নেতাদের। তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়। কয়েকটা লোকের মুখ দেখে ভোট দেয় না। তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে না। জেলার দায়িত্ব মানে কেউ কেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা চলবে না। বাইকে করে ঘুরুন, পায়ে হেঁটে ঘুরুন, বড় চারচাকায় ঘোরার দরকার নেই। সাইকেলে ঘুরুন। বিরোধী মনে করে ঘুরুন।এরইমধ্যে বিজেপির মন্ত্রী থেকে বিধায়ক নয়া উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এই নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এদিন অভিষেক জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের অভিধানে আর উত্তরবঙ্গ শব্দটাই থাকবে না{ এমনকী তিনি সাংবাদিকদের কাছেও আবেদন করেছেন উত্তরবঙ্গ না লিখতে। অভিষেক বলেন, কোনও দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গ নয়। একটাই বঙ্গ।বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক চলছে। একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছে রাজ্য। অভিষেক বলেন, বাংলার মানুষের প্রকল্প বাংলার নামে হবে না প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে? পঞ্চায়েত সমিতির নামে রাস্তা হলে এলাকার নামে হবে না সদস্যর নামে হবে? প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে না বাংলার নামে হবে। মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সড়ক প্রকল্প করতে পারত, করেনি। বাংলার নামে করেছে। তাঁর দাবি, ১০০ দিনের ৯হাজার কোটি টাকা, বাংলার আবাস যোজনা ৮হাজার কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৫হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র।

জুলাই ১২, ২০২২
রাজ্য

এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস ধর্মতলায়, বিশেষ গুরুত্ব উত্তরবঙ্গকে

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরের বছরে একুশে জুলাই শহিদ দিবস ভার্চুয়ালি আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে ঘাসফুল শিবির। উত্তরবঙ্গের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। দল চাইছে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও কর্মী-সমর্থক ওই দিন ধর্মতলায় আসুক।তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ২ বছর করোনা আবহে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারিনি। যদিও ভার্চুয়ালি মিটিং হয়েছে। কোনও জনসমাগম করা হয়নি। এবার ২১ জুলাই পথ চলায় কর্মীদের দিক নির্দেশ দেবেন মমতা। এই দিনটা আগে আয়োজন করতো যুব কংগ্রেস তারপর তৃণমূল কংগ্রেস।সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার শহিদ দিবসে আরও বেশি করে সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আরও বেশি কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত হতে পারেন তার ওপর জোর দিতে হবে। জেলায় জেলায় স্লোগান তুলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে ধর্মতলা চলো। এবার আগের থেকেও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে। ভিন রাজ্য থেকেও প্রতিনিধিরা আসবে।এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুলাই আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২১ বিধানসভা ভোটেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। একজন সাংসদও নির্বাচিত হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। আলিপুরদুয়ার জেলায় একজন বিধায়কও নেই তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২১ জুলাই উপলক্ষ্য়ে কেউ যেন চাঁদা না তোলে। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।

জুন ১৭, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতার 'খাইকে পান বেনারসি ওয়ালা' ভাইরাল, উত্তাল সোশাল মিডিয়া, দেখুন ভিডিও

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য ভাইরাল হতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। নাচের সঙ্গে বিকৃত অঙ্গভঙ্গিতে দিলেন দলের স্লোগান। ওই নেতার নাচের দৃশ্য এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। এই উদ্দাম নৃত্যকে তৃণমূলের অপসংস্কৃতি বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভাইরাল ভিডিওর জেরে জলপাইগুড়ির বানারহাটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নয়ন দত্ত এখন খবরের শিরোনামে। এক ভিডিওতেই বাংলাজুড়ে পরিচিতি পেলেন তৃণমূলের নয়ন। যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা।খাইকে পান বানারসি ওয়ালা আবার দয়ালবাবা কলা খাবা এমন সব চটুল হিন্দী-বাংলা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে ভাইরাল হয়েছেন বানারহাট ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়ন দত্ত। গানের সঙ্গে সমানে চলছে সিটি। এই এক ভিডিও জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট, একটি ঘরে বাবু ঘরানায় ফিরে গিয়েছেন তাঁর অনুগামিদের নিয়ে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, অপ্রকৃতিস্থ বললেই চলে। বেসামাল হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ঘরের দেওয়াল ধরে বসে পড়ছেন। এর সঙ্গে চলছে জোরদার রাজনৈতিক স্লোগান।তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দুলিয়েছে ব্লক তৃণমূলের যুবসভাপতি বিমল মাইতিও। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন তাঁরা। হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে অনুগামীদের। নয়ন দত্তের দাবি, এই ভিডিও অনেক পুরনো। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেউ সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
রাজ্য

জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ে

গরমের তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কলকাতায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও অস্বস্তি কাটেনি বিন্দুমাত্র। এদিকে রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এরইমধ্যে গরম এড়াতে ঠান্ডার আমেজ নিতে অনেকেই ছুটছেন দার্জিলিং। ভিড় বেড়েছে সেখানে। আজ, বুধবার পাহাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা একটু কম ছিল। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য়দিকে রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে বেলা গড়াতেই রাস্তা জনশূণ্য হয়ে যাচ্ছে। জরুরি কাজ না থাকলে কেউ বাইরে বেরাচ্ছেন না। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপর। বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।কলকাতায় তাপপ্রবাহের আবহ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার থেকে সাউথপয়েন্টে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে। চলবে টানা তিন দিন, শুক্রবার পর্যন্ত। রাজ্য শিক্ষাদফতরও জেলাগুলিতে সকালে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় সকালে স্কুল চালু করে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই একটু দেখে নেওয়া হচ্ছে। তেমন হলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
রাজ্য

গাড়ি বিস্ফোরণ সেভকের হেরিটেজ করোনেশন সেতুতে, বিতর্ক চরমে

সেভকের করোনেশন সেতুর উপর গাড়িতে বিস্ফোরণ! বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। পরে জানা যায়, বিনোদ মেহেরার ছেলে রোহন মেহেরা অভিনিত হিন্দি ওয়েব সিরিজ কালার শ্যুটিংয়ের অংশ ছিল ওই গাড়ি বিস্ফোরণ। প্রথম দিকে ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং হয়েছে তাকদহের ১২ নম্বর কলোনির বাংলোতে। পরে দার্জিলিংয়ের উইন্ডেমেয়ার হোটেল সহ ম্যাল রোডেও শ্যুটিং হয়েছে ওই সিরিজের একাংশের। এদিন ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং একশন সিনের অংশ হিসেবে করোনেশন ব্রিজে ওই বিস্ফোরণ করা হয়।প্রশ্ন উঠছে, সেভকের করোনেশন সেতুর হেরিটেজ তকমা রয়েছে। তাছাড়া ব্রিটিশ আমলের ওই ঐতিহাসিক সেভকের সেতু এমনিতেই দুর্বল। কীভাবে পুলিশ প্রশাসন ওই সেতুর উপর শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অনুমতি দিল। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। তবে ওই বিষয়ে মুখখুলতে চাননি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম ও দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর। অভিযোগ উঠেছে, ওই বিস্ফোরণের পর সেতুর একাংশ ক্ষতি হয়েছে। এই সেতুটি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ডুয়ার্স সহ শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সম্বল। শ্যুটিংয়ের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এদিকে প্রশাসনের তরফে ওই বিস্ফোরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক এজাজ আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশ দিয়েছে কিনা জানা তিনি জানেন না।ওই বিস্ফোরণের পরই সোচ্চার হয়েছে ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোশ্যাল রিফর্মস। সংস্থার সম্পাদক চন্দন রায় কথায়, শ্যুটিং হলেও ওই বিস্ফোরণ করা ঠিক হয়নি। শতাব্দী প্রাচীন ওই সেতু এমনিতেই দুর্বল। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন কেন ওই বিস্ফোরণের অনুমতি দিল। আগামী শনিবার সেভক থানায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবে ওই সংগঠন।

মার্চ ২৪, ২০২২
নিবন্ধ

আটশ' শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত কৌরবপক্ষের তেইশতম প্রজন্ম বর্মন বংশের রাজা জল্পেশের শিবমন্দির

আধমাইলটাক লম্বা এক পায়ে চলা পথ-- ধুলায় ধুসর, ভিড়ে ভিড়াক্কার! যাত্রীদের ক্যাঁও ম্যাঁও... ফেরিওয়ালাদের হুল্লোড়... বাচ্চাকাচ্চাদের চ্যাঁ ভ্যাঁ... বাঁশির প্যাঁ পো... মাইকের অমায়িক নির্ঘোষে জয় জয় শিবশঙ্কর কাঁটা লাগে না কঙ্কর... থেকে থেকেই আশেপাশে পিলে চমকানো ব্যোম ভোলে... তবে সব কিছু ছাপিয়ে যেত পথের দুপাশে চট-বস্তা-খড়ের ভুমিশয্যায় সারি সারি বিকলাঙ্গ ভিখারীর আর্তনাদ!বীভৎস ঘা... খসে পড়া আঙ্গুল বা হাত পা... বিকট অঙ্গবিকৃতি... সেই সব ঘা বা হাত পায়ে অনেক সময় লোহার কাঁটা বা বাঁশের কঞ্চি ঢোকানো-- মা বলতো ছোটবেলায় ছেলেধরারা ওদের ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে, কেটে-পচিয়ে ভিক্ষে করাচ্ছে! চোখে দেখে সহ্য করতে পারতাম না সেই শিশুবয়সে; ফোঁপাতে ফোঁপাতে, কখনো বা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে কোনো মতে পেরিয়ে যেতাম সেই পথটুকু!আজ বুঝি, ওরা বেশির ভাগই ছিল কুষ্ঠরোগী-- চিকিৎসাহীণতায় অঙ্গবিকৃতির শিকার! রোগক্লিষ্ট অঙ্গের স্নায়ু শুকিয়ে গিয়ে ব্যথার অনুভূতি চলে যেত, ফলে মানুষের নজর টানতে কাঁটা ঢুকিয়ে বা দগদগে ঘা নিয়ে শুয়ে বসে থাকতে হয়ত খুব বেশি কষ্ট হত না তাদের। তবু জল্পেশ মন্দিরের মহাশিবরাত্রির মেলায় সেই সব ভিখারীরা আমার শৈশবস্মৃতির চিরকালীন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে গেছে।জল্পেশের শিবমন্দিরজল্পেশ মন্দির। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত এই শিবমন্দিরের ইতিহাস আজকের নয়। কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন কৌরবপক্ষের মহারথী ভগদত্ত। তাঁর পরের তেইশ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্মন বংশের শেষ রাজা জল্পেশ নাকি এই মন্দির রচেন আনুমানিক আটশ শতাব্দীতে। কয়েক শতক পর বখতিয়ার খিলজি-র হাতে ধ্বংস হয়ে যায় সুপ্রাচীন এই শৈবতীর্থ। দ্বাদশ শতাব্দীতে ভুটানের এক রাজা নতুন করে একে গড়ে তুললেও পরে আবার জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায় সব কিছু। ১৫২৪ খ্রীষ্টাব্দে কোচবিহার রাজবংশের বিশ্ব সিংহ আবার গড়ে তোলেন এই দেবস্থান। ১৫৬৩-তে তাঁর ছেলে মহারাজা নারায়ণ, ও ১৬৬৩-তে রাজা প্রাণ নারায়ণ আরো দুবার এর সংস্কার করেন। কোচবিহার রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় জল্পেশ মন্দির ফিরে পায় পুরনো গৌরব। কিন্তু গোল বাধলো আবার। রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ-এর অভিষেকের সময় রাজছত্র ধরতে অস্বীকার করেন অধীনস্থ বৈকুন্ঠপুর রাজ্যের রাজা মহীদেব রায়্কত, এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন থেকে স্থানীয় বৈকুন্ঠপুর-এর রায়্কত-রাই মন্দিরের দেখভাল করতেন। এই বৈকুন্ঠপুর রাজ্যেরই অন্তর্গত ছিল পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা জলপাইগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা। জোরালো ভূমিকম্পে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৮৯৯ সালে রাজা যোগেন্দ্রদেব রায়কতের মহিষী রাণী জগদীশ্বরী দেবী পুনর্নির্মাণ করান বর্তমান মন্দিরটি।জলপাইগুড়ি শহর থেকে তেইশ কি.মি., ময়নাগুড়ি বাইপাস মোড় থেকে মাত্র ছয় কি.মি. দুরে.. জল্পেশ্বর শিবমন্দিরের বহিরঙ্গ রূপটি সাদামাটা, অন্যান্য হিন্দুমন্দিরের থেকে কিছু আলাদা; খানিকটা যেন ইসলামী আদল আছে। ১২৬ ফুট উঁচু, ও ১২০ ফুট চওড়া ধবধবে সাদা মন্দিরের মাথায় বিশেষত্বহীন মূল গম্বুজটিকে ঘিরে চারটি ছোট গম্বুজ। ভিতরে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে গর্ভগৃহে; জলপূর্ণ কুন্ডের মাঝে বিরাজমান অনাদি শিবলিঙ্গ। জুন থেকে অক্টোবর-- ঘোর বর্ষায় তা সম্পূর্ণ ডুবে যায়। বছরে তিনবার উৎসব জল্পেশ-এ-- বৈশাখী, শ্রাবনী, আর মহা-শিবরাত্রি মেলা। সারা বছর ধু ধু মাঠে এলোমেলো বইত উদাসী হাওয়া; পাশ দিয়ে তিরতিরিয়ে বয়ে চলা জরদা নদীর বালি উড়তো হিমালয় ছুঁয়ে আসা উত্তুরে বাতাসে। আর শিবরাত্রির সময় লাখ বারো ভক্তের সমাগমে রমরমিয়ে উঠতো মাইলের পর মাইল ফাঁকা জমি জুড়ে জমে ওঠা মেলা। পনেরো কি.মি. দুরের তিস্তা নদী থেকে জলপূর্ণ ঘট বয়ে এনে অনাদি শিবলিঙ্গের মাথায় ঢেলে দিতেন ভক্তরা। আমার শৈশবে এক পক্ষকাল ধরে চলত সে মেলা। কী না পাওয়া যেত সেখানে! স্বাধীনতার আগে নাকি হাতিও কেনাবেচা হতো; পাশের রাজ্যগুলি, এমনকি নেপাল-ভুটান-পূর্ব বাংলা থেকেও মানুষ আসতেন হাতি কিনতে! এই কদিন বেশিরভাগ বাস নিজের রুট ছেড়ে দিয়ে সামনে বোর্ড ঝোলাতো জল্পেশ মেলা । আন্তর্জাতিক সীমান্তও এসময় হয়ে যেত শিথিল; ভক্তরা আসতেন বাংলাদেশ থেকেও। প্রতি বছর উপোস করে জল্পেশ্বর-র মাথায় জল ঢালতে যেত মা, আর খুব ছোট থেকেই সঙ্গী হতাম আমি। সেই মর্মবিদারী ভিক্ষুককুলের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা ছিল বিভীষিকা! ভিড়ের ঠেলায় ছুটতাম ছোটো ছোটো পায়ে... জরদা নদীর কাঠের পুল পেরিয়ে আরো কিছুদুর... মন্দিরের গেটের সামনে দুই হাতির মূর্তি... কারো হাত ধরে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম বাইরে... ভিড়ে ঠাসা সিঁড়ি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে নেমে যেত মা... শিবলিঙ্গে জল ঢেলে কোনমতে হাত বাড়িয়ে একটু স্পর্শ করা... একবার মনে আছে আস্ত একটা তাজা কলা মা নিয়ে এসেছিল ফুল পাতার স্তূপ হাতড়ে!ভিখারীদের সেই ভয়ানক দৃশ্য এড়াবার উপায় বার ফেলেছিলাম পরের দিকে। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে চোখদুটো আধবোজা করে এদিক ওদিক না তাকিয়ে পেরিয়ে যেতাম রাস্তাটুকু। শেষবার গেছিলাম বোধ হয় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়। চলতে চলতে চট-বাঁশ-ত্রিপলের এক ছাউনি দেখেছিলাম পথের ধারে, বোধ হয় পুতুলনাচ বা জাদুর খেলা বা ওই জাতীয় কিছুর আয়োজন। কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছিল না সেখানে। ছাউনির সামনে লম্বা বাঁশের মাথায় বাঁধা ছিল মাইক। গরম হাওয়া বইছিল এলোমেলো। তপ্ত শেষ বসন্তে মেলার ভিড়ে নিঃসঙ্গ এক মাইকের নিশ্চুপ প্রতীক্ষা চার দশক পেরিয়ে, কেন জানি না, মনে জেগে আছে আজো!ডঃ সুজন সরকার বর্ধমান।

মার্চ ০১, ২০২২
কলকাতা

আজ গীতশ্রীর শেষকৃত্য, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ সফর মাঝপথে ছেড়েই কলকাতায় ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কোচবিহারে ছিলেন তিনি। সেখানেই গীতশ্রীর মৃত্যুর খবর পৌঁছয় তাঁর কাছে। সেখান থেকে কলকাতায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজের সফরসূচিতে কাঁটছাট করেন মমতা। জানিয়ে দেন, বুধবার সরকারি তত্ত্বাবধানেই হবে সন্ধ্যার শেষকৃত্য।কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। মমতা বলেন, কোচবিহারে আমার সভা রয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যাদির মৃত্যু খবর পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তাই বুধবার দ্রুত কাজ সেরে আমি কলকাতায় ফিরে আসছি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সর্ব্বোচ্চ সম্মান দিয়ে সন্ধ্যার শেষকৃত্য করবে। আজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে। বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।মঙ্গলবার কোচবিহারে অনন্ত মহারাজের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী। তারপর উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
কলকাতা

যত জিতব তত নম্র হতে হবে, বললেন মমতা

তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে যাওয়ার আগে চার পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়কে জনগণকে উৎসর্গ করলেন দলের সভানেত্রী।বিমানে ওঠার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জয়ের জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। যত জিতব তত আমাদের নম্র হতে হবে। আগামী দিনে আমার লক্ষ্য শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। আমাদের সমস্ত সামাজিক প্রকল্প যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হবে। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল, কলকাতা পুরসভায় জিতেছি। আগামী দিনে আরও কয়েকটি পুরসভা নির্বাচন আছে।তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের পরিষেবা, বাংলার সবুজায়ন, শিল্প সমৃদ্ধ করা, মায়ের সম্মান, ছাত্র যুবদের সম্মান, শ্রমিক কৃষকের ভালবাসা, সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে সংস্কৃতি সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে আমরা করে চলেছি এবং করে যাব। আরও বেশি করে মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আগামিদিন আমার ডেস্টিনেশন ইন্ডাস্ট্রি। কাজের সুযোগ বাড়ানো।একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, জনগনের পরিষেবা পুরনিগম, পুরসভা দেবে। সরকারের অনেক কাজ। মঙ্গলবার থেকে আবার দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। আমাদের সমস্ত সরকারি প্রকল্প যেন ঠিকমতো চলে তা সবাইকে দেখতে হবে। কোভিড কমে গেলেও সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এই জয় মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। আজ শিলিগুড়ি যাচ্ছি। কোচবিহারে অনুষ্ঠান আছে। ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মিটিংও আছে। আজ পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন। ওখানে পৌঁছে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করব।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal